বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
অবসরে যাওয়া সরকারি কর্মচারীদের জন্য পেনশন- কল্যাণমূলক সেবা বাড়াতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক বৈঠকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে পেনশনারদের জীবনযাত্রা আরো সুরক্ষিত হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য পেনশন পুনঃস্থাপনের অপেক্ষাকাল ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছরে আনার প্রস্তাব অর্থ বিভাগ জাতীয় বেতন কমিশনে পাঠাবে। পাশাপাশি পেনশন পুনঃস্থাপনের আগে কেউ মারা গেলে তার স্বামী/স্ত্রী বা যোগ্য উত্তরাধিকারীদের পেনশন সুবিধা প্রদানের বিষয়টিও অর্থ বিভাগকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পেনশনভোগী অবস্থায় কেউ দ্বিতীয় বিয়ে করলে, তার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীকে পারিবারিক পেনশন দেওয়ার বিষয়েও সুপারিশ চাওয়া হয়েছে।
বর্তমান নিয়মে, যদি একজন পেনশনভোগী কর্মকর্তা মারা যান, তাহলে তার প্রথম স্ত্রী বা স্বামী আজীবন পেনশন পান। পাশাপাশি, যারা শতভাগ পেনশন সমর্পণ করেছেন, তাদের পেনশন পুনঃস্থাপনের জন্য অপেক্ষাকাল বর্তমানে ১৫ বছর।
নতুন প্রস্তাবমালা অনুযায়ী—
*পেনশন পুনঃস্থাপন সময় ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে।
*পেনশনভোগীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করলে— মৃত্যুর পরে দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীকেও নিয়ম অনুযায়ী পারিবারিক পেনশন প্রদানের প্রস্তাব করা হবে।
*অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগী যদি জটিল রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।
*প্রবাসে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্র ও আনুষ্ঠানিকতার স্বাক্ষরদানসহ অন্যান্য বিষয় মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে পর্যালোচনা করা হবে।
*শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধি ও পেনশন পুনঃস্থাপন হলে পুরোদমে ভাতাসম্বন্ধিত সুবিধা যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, পেনশন-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে এর আগে সময়ে সময়ে নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এখন পেনশন নিয়ে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।